কাজের ফাঁকে গল্প করে সিনিয়ার মারে ফাঁকি,
খেয়াল কি নেই এখনও কত কাজ আছে বাকি?
জুনিয়ারটা মরছে খেটে সকাল সন্ধ্যা রাত,
আর কাজ করতে বললেই সিনিয়ার কুপোকাত!
কাজ দেখিয়ে প্রশংসা পায় যখন জুনিয়ার
সিনিয়ার ভাবে, "এইরে গেল আমার চেয়ার!"
ইচ্ছা করে শোনায় তখন গা জ্বালানো কথা,
ভাবে এইবার জুনিয়ারটা পাবে মনে ব্যথা।
দুনিয়ার এই মজার খেলা ঢোকেনা মাথায় তার
জুনিয়ারটা ভেবেই মরে,"এ কি আজব কারবার!"
দিচ্ছে ফাঁকি যে লোকটা সে পাচ্ছে বেশি করে,
নেই দাম তার যে কাজ করে ভালো করে।
যদি বেশি কাজ দেয় পাছে তাই এই কায়দাবাজি,
আর পেটের দায় জুনিয়ারটা কম টাকায় হয় রাজি।
সিনিয়ারটা তেলা মাথায় মাখায় বসে তেল,
বছর শেষে মোটা টাকার যেন হয় "Appraisal" ।
জুনিয়ারটা সরল সিধা তেল দিতে জানেনা
তাই তো তার প্রয়োজনের কথা মালিক শোনেনা।
আধ পেট খেয়ে ভরপেট কাজ দেয় সে বেচারা,
পেট ভরে খেয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমোয় সিনিয়ারটা।
এভাবেই মন ভেঙে দেয় আজব খেলা এ দুনিয়ার,
না খেতে পেয়ে জুনিয়ার শুধু খেটে হয় জেরবার।
সেই জন্যই বলি, "শোন ওরে বোকা জুনিয়ার,
যে কম্পানি দেয়না মান এবার সেটা তুই ছাড়।
তেল মাখাতে শেখ এবারে, শেখ মারতে ফাঁকি,
ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে শেখ যে কাজগুলো বাকি!
নইলে এরা তোর ঘাড়েতেই চাপাবে সব বোঝা,
কাজ করে পার পাওয়া তখন হবে নাকো সোজা।
কাজের ফাঁকে মারলে ফাঁকি নেই কো কোনো দোষ,
তোকে দেখে সিনিয়ারটা করবে না কো রোষ।
পিঠ চাপড়ে উtসাহ সে নিজেই এসে দেবে,
না সে তখন তোর কাজের ক্রেডিট নিজে নেবে।
লাফিয়ে লাফিয়ে Salary-টা বাড়বে তখন ভাই,
চুটিয়ে লাইফ enjoy করো, ব্যস আর কি চাই!"
লেখক পরিচিতিঃ-
সায়ন্তনী ব্যানার্জী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি। বিজ্ঞাপন ও ডিজিটাল মার্কেটিং পেশায় যুক্ত। কন্টেন্ট রাইটার ও গ্রাফিক ডিজাইনার। পরিবেশ নিয়ে লিখতে ভালবাসেন।



মন্তব্যসমূহ